মন ছুটে যায় শাহবাগে  ড. মোঃ কামরুজ্জামান 


admin প্রকাশের সময় : জুন ৪, ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন /
মন ছুটে যায় শাহবাগে  ড. মোঃ কামরুজ্জামান 
মন ছুটে যায় শাহবাগে 
-ড. মোঃ কামরুজ্জামান 
গত ৫৪ বছরে দেশে অনেক আন্দোলন হয়েছে। তবে ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ও নোংরা আন্দোলন ছিল  শাহবাগের ‘গণজাগরণ মঞ্চের’ আন্দোলন। আর এটি সৃষ্টি হয়েছিল ২০১৩ সালে। এ সালে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বসিয়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজানো অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল।
এরপর হঠাৎ করেই ‘ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক’ নামের একটি সংগঠন শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করত থাকে। এরপর রাষ্ট্রীয় মদদে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে এটিকে বড় করা হয়।  বড় জমায়েত দেখাতে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানকে শাহবাগে যেতে বাধ্য করা হয়। মূলত ভারতের ইশারায় তৎকালীন আওয়ামী সরকার কর্তৃক জামায়াত নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংকে বৈধতা দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা হয় শাহবাগের এই ‘গণজাগরণ মঞ্চ’। যদিও সেটির কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখন আর অবশিষ্ট নেই। ওই আন্দোলনের সংগঠক ও কুশীলবরাও আজ দেশের দৃশ্যপটে অনুপস্থিত। তাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন। অনেকে আবার দেশ ছেড়ে কাপুরুষের মত পালিয়েছেন।
প্রথমদিকে গণজাগরণ মঞ্চের চরিত্র ‘নির্দলীয়’ দাবি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ছাত্রলীগনেতারা গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব নিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কথিত ও সাজানো দাবির মুখে আদালতের আইন সংশোধন করা হয়। সংশোধিত আইনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু কোর্ট মজলুম নেতা আবদুল কাদের মোল্লার কারাদণ্ডের আদেশ পরিবর্তন করে ফাঁসির আদেশ প্রদান করে। এ অবৈধ আদেশের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এভাবেই সাজানো রায়ের মাধ্যমে এক এক করে শহীদ করা হয় জামায়াত নেতাদের। জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয় এবং সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয়। মিথ্যে মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ ও তা কার্যকর করে শেখ হাসিনা ঘৃণ্য উচ্ছাস প্রকাশ করেন। তিনি সংসদে  দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ইচ্ছে হয় শাহবাগে ছুটে যাই।’
জামায়াত বিরোধীতার অন্তরালে এই মঞ্চ মূলত সুচারুভাবে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ।
আল্লাহর আইনকে ‘অমানবিক’ বলে ঘোষণা করে এই মঞ্চ। দিনের পর দিন এই মঞ্চ থেকেই আল্লাহর নামের বিরুদ্ধে ঠাট্টা করা হয়েছিল। এই মঞ্চ থেকেই রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর পবিত্র স্ত্রীদের নামে অপমানজনক ভাষা ছড়ানো হয়েছিল। ইসলামী চেতনাকে তুচ্ছ করে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নাম দিয়ে এক বিকৃত দর্শন চাপানো হয়েছিল জাতির উপর এই শাহবাগ থেকেই। শাহবাগ সেই জায়গার নাম যে জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছিল। ফ্যাসিবাদের নিকৃষ্টতম অস্ত্র প্রয়োগ করেই নিরাপরাধ জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু মাত্র এক যুগের ব্যবধানে সব হিসেব কিতেব এলোমেলো হয়ে গেলো সেই শাহবাগ থেকেই। শাহবাগের স্রষ্টা ছিল আওয়ামী লীগ। র এর প্রত্যক্ষ ভূমিকায় সৃষ্টি হয়েছিল এখানে কৃত্রিম জনপ্রিয়তা।ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় উত্থান ঘটেছিল কৃত্রিম  আওয়ামী জনপ্রিয়তা। শেখ হাসিনার ডাইরেক্ট নির্দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শাহবাগীদের ভূয়া দাবির প্রেক্ষিতেই পরিবর্তন করা হলো ট্রাইবুনালের আইন! ভূয়া আইনের মাধ্যমেই এক এক করে শহীদ করা হলো জামায়াত নেতাদের!  কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই শাহবাগ আজ দখলে নিয়েছে আওয়ামী বিরোধী সকল জনতা। শাহবাগে সব দল থাকলেও সেখানে নেই আওয়ামী লীগ। প্রকৃতির প্রতিশোধ কতোইনা নির্মম! জনতার দাবির মুখে সেই শাহবাগেই নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার হাতে গড়া ট্রাইবুনালেই বিচার হচ্ছে শেখ হাসিনার! প্রকৃতির প্রতিশোধেও তারিখের এক অদ্ভুত মিল পরিলক্ষিত হয়! ২০১৬ সালের ১০মে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ক্যংগারু কোর্টের সাজানো বিচারে শহীদ হন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (র:)। আর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো ২০২৫ সালের ঐ একই তারিখে!
সেই সময় আওয়ামী লীগ বিজয়ের কেতন উড়িয়েছিল। ইসলাম উৎখাতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় জামায়াতের বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছিল মিথ্যে সব অভিযোগ। জামায়াতকে ধ্বংসের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদী একটা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম  গড়ে তুলবার ছক কষেছিল। সেই সময়ের শাহবাগিরা গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থা নিষিদ্ধের ঘোষণা করেছিল। বিভিন্ন পত্রিকার নাম উল্লেখ করে এগুলো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে তারা ভাঙচুর করেছিল। ‘কৃত্রিম জনপ্রিয়তা’ সৃষ্টি করে দেশে এক ভয়ংকর সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিয়েছিল। দেশের সব গণমাধ্যম বিষয়টিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করেছিল । অনেকগুলো টিভি চ্যানেল এখানে-সেখানে টেবিল পেতে লাইভ ব্রডকাস্ট শুরু করেছিল। কিন্তু ঐ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন ড. মাহমুদুর রহমান ও তার পত্রিকা আমার দেশ। ‘শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি’ শিরোনামে ব্যানার লাইনে সংবাদ পরিবেশন করে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল আমার দেশ পত্রিকা। ফলে ফ্যাসিবাদী হাসিনার  রোষানলের কবলে পড়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল আমার দেশ পত্রিকা। মাহমুদুর রহমানকে জেল খাটিয়ে দেশ ছাড়া করেছিল সেই সময়ের শাহবাগিরা। আগস্ট বিপ্লবের আগেও শাহবাগী কুশীলবেরা ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতায় বেশ মজায় দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো নিখুঁত। ১২ বছর পরে আজকের সেই শাহবাগে তথাকথিত সেসব প্রগতিশীলদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রজনতার আন্দোলনের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিল তথাকথিত আওয়ামী বুদ্ধিজীবী ড. জাফর ইকবাল। শাহবাগী কুশীলবের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলো ডা. ইমরান এইচ সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সাবেক গভর্নর এবং ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের সাবেক ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, ভারতপন্থি সাংবাদিক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভির সাবেক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর অঞ্জন রায়, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও মঞ্চের ‘স্লোগানকন্যা’খ্যাত লাকি আক্তার প্রমুখ।
শাহবাগকে ব্যবহার করে ওই সময় এসব ব্যক্তিবর্গ জিরো থেকে হিরোয় পরিণত হয়েছিলেন। সময়ের ব্যবধানে তারা আজ নির্লজ্জভাবে পলাতক! আজকের শাহবাগে প্রায় প্রতিদিনই বীর জনতা ফ্যাসিবাদের  বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। অপরাপর সবাই সেখানে যোগদান করলেও গা ঢাকা দিয়েছে আওয়ামী শাহবাগিরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের বেশিরভাগই জুলাই বিপ্লবের আগে-পরে বিদেশে পালিয়েছে। কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন আবার কেউ কেউ কারাবাস করছেন।
তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও তারা মরেনি।  বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, ৭১ক্লোজ হলেই তাদের মৃত্যু হবে। ৭১ এর আলোচনা বন্ধ হলে র বেকার হয়ে যাবে। ৭১ক্লোজ হওয়া মানে ভারতের ব্যবসা বন্ধ হওয়া। তাই ৭১ জিইয়ে রাখা ছাড়া আর কোনো লাভজনক ব্যবসা আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে নেই। এই চ্যাপ্টার জিইয়ে রাখতে র কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে আসছে বহু আগে থেকেই। আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর ভারতের প্রথম টার্গেট ছিল বিএনপি। বিএনপি এখন ভারতের পকেট দলে পরিণত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল এনসিপি। এনসিপির মাহফুজরা এখন র এর ফুল এজেন্টের ভূমিকা পালন করছে। তাইতো দেখা যায়, ২৪ এর নায়করা এখন ৭১ এর মহানায়ক!! অথচ একাত্তরের বহু পরে তাদের জন্ম! আওয়ামী লীগ ২৪ মানে না, র ২৪ মানে না, ভারতও মানেনা। ভারতের শত্রুর তালিকায় তাই এখন বিএনপির কেউ নেই, সমন্বয়কদের কেউ নেই, অন্যান্য দলেরও কেউ নেই বলেই মনে হয়। ভারত, র,  আওয়ামী লীগ ও তাদের এজেন্টদের একমাত্র শত্রু জামায়াত শিবির ও অন্যান্য ইসলামী দল। ইসলামী দল বিশেষত জামায়াতে ইসলামীর অধিকাংশ নেতাই আপোষহীন, আদর্শিক ও বাংলাদেশের প্রতি কমিটেড। তাদের সুসংগঠিত শৃঙ্খলার কাছে অন্যান্য সকল দল ম্রিয়মাণ বললে অত্যুক্তি হবে না। বাংলাদেশপন্থী বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতে ইসলামী এখন স্বাধীন সত্তার নাম। তাদেরকে আদর্শিকভাবে কেউ দমাতে পারবে না। সুতরাং র এর নতুন মিশন হলো, জামায়াতকে আগের মতো কোণঠাসা করা। আর এজন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশের মাটিতে লাশের রাজনীতি শুরু করা। আওয়ামী লীগ এখন নিষিদ্ধ। তথাপিও আওয়ামী লীগ ও ভারত বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায়। বিএনপিকে ভারত ক্ষমতায় আনতে চায় এবং বিএনপির ঘাড়ে সোওয়ার করিয়ে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করতে চায়।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪১ সালে। উভয় পাকিস্তানে তখন এ দলের আমীর ছিলেন মাওলানা মাওদূদী (র:)। জামায়াতের বিরুদ্ধে তখন যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার কিংবা জঙ্গিবাদের অভিযোগ ছিলনা। তথাপিও পাকিস্তানের তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার জামায়াতের উপর সীমাহীন দমন পীড়ন চালিয়েছিল। স্বৈরাচারী সরকারের ক্যাঙ্গারু আদালত মাওলানা মাওদূদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছিল। মূলত জামায়াতের আদর্শ মোকাবেলা করতে তাদের কাছে দ্বিতীয় কোনো অস্ত্র ছিল না। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তারা এজাতীয় ফ্যাসিবাদী নীতির আশ্রয় নিয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশেও জামায়াতের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা অব্যাহত আছে। বোধ করি এটা আজীবন চলমান থাকবে। মূলত এটা হলো ইসলামের বিরুদ্ধে ভারতীয় মুশরিকদের আজন্ম প্রজেক্ট। রাজাকার , ৭১, যুদ্ধাপরাধী ইত্যাদির অন্তরালে তারা ইসলাম নির্মূলের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে চায়। আগস্ট বিপ্লবের পর মনে হয়েছিল সেই প্রজেক্ট থেমে যাবে। কিন্তু না, থামেনি। নতুন উদ্যমে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে চলেছে । এ লক্ষ্যে তারা ‘শিবির’ ঠেকাও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারত তাদের বন্ধু আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে। শেখ হাসিনা শিবির নিধনের বৈধতা দিয়েছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে!! সুদীর্ঘ ১৭ বছর যাবত দেশে তাই শিবির মারলে কোনো অন্যায় হতো না, বিচারও হতো না! বাংলাদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় ফোর্স ছিল আওয়ামী লীগ। দেশে এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ। তাদের সেকেন্ডারি ফোর্স হিসেবে এখন মাঠে আছে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, কালের কণ্ঠ, কালবেলা, ৭১ টিভি, সময় টিভি ইত্যাদি। তারা দেশে আওয়ামী লীগকে ফেরাতে ঘাম ঝরাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিবির হঠাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। প্রথমত তারা বিএনপি এবং ছাত্রদলকে দিয়ে হাসিনার ন্যারেটিভ প্রাকটিস করিয়েছে। এরপর এনসিপির একটা অংশকে পকেটে নিয়েছে। দেশে একটার পর একটা ইস্যু সৃষ্টি তৈরি করছে ঐসব গোষ্ঠী। দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে ওরা জিইয়ে রাখতে চায় বস্তাপচা পুরাতন কাসুন্দি। ১৯৪১ সাল থেকে ২০২৫, দীর্ঘ ৮৪ বছর যাবত দেশ-বিদেশের সকল শক্তির বিরুদ্ধে একাকী লড়ে যাচ্ছে বেসরকারি সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। প্রশ্ন হলো, আর কতোদিন লড়লে তোমরা জামায়াতেকে নির্মূল করতে পারবে!? হাসিনা নির্মূল করতে গিয়ে নিজেই নির্মূল হয়েছে । এই মুহূর্তে তার মৃত্যু হলে তার কি জানাযা হবে নাকি বিসর্জন, এইটা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রায় তিন লাখ কর্মী এখন দিশেহারা। ঠিক এমন সময় মাহফুজরা আওয়ামী লীগের স্থলাভিষিক্ত হলো! পারবে কি এই শিশুরা ভারতীয় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে??
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া